ঢাকা কক্সবাজার রোডের সেরা ১০টি জনপ্রিয় বাস সার্ভিস

ঢাকা কক্সবাজার রোডের সেরা ১০টি জনপ্রিয় বাস সার্ভিস এর নাম, ভাড়া ও অন্যান্য সুবিধা

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের পথ এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। এশিয়ার সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য বাস সার্ভিসের মাধ্যমে এই ভ্রমণকে সহজ এবং উপভোগ্য করে তোলার সুযোগ রয়েছে। কক্সবাজার যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের বাস সার্ভিস পাওয়া যায়, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে লাক্সারি কোচ থেকে শুরু করে নন-এসি বাস। প্রতিটি সার্ভিসের নিজস্ব সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনার বাজেট এবং পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেওয়া যায়।

এই নিবন্ধে আমরা ঢাকা-কক্সবাজার রুটের সেরা ১০টি বাস সার্ভিস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাসগুলোর টিকিটের দাম, যাত্রার সময়, এবং সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। এটি আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা সহজ করে তুলবে এবং কক্সবাজার যাত্রা আরও আরামদায়ক করবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন বাস সার্ভিস আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত!

ঢাকা কক্সবাজার রোডের সেরা ১০টি বাস সার্ভিসঃ

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রুট, যেখানে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী যাতায়াত করেন। এই দীর্ঘ যাত্রাকে আরামদায়ক ও স্মরণীয় করতে বেশ কিছু বাস সার্ভিস উন্নতমানের সেবা প্রদান করে থাকে। নিচে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের সেরা ১০টি বাস সার্ভিসের বিবরণ দেওয়া হলো:

১। গ্রীন লাইন পরিবহন

গ্রীন লাইন পরিবহন বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত বাস সার্ভিস। এটি বিশেষ করে বিলাসবহুল এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য পরিচিত। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে গ্রীন লাইন পরিবহন অনেক বছর ধরে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে এবং তাদের মানসম্মত সেবা যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে রেখেছে।

গ্রীন লাইন পরিবহনের প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  • বিলাসবহুল এসি বাস:
    প্রতিটি বাসই উন্নতমানের এসি সুবিধাসম্পন্ন, যা যাত্রাকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।
  • আরামদায়ক আসন:
    আসনগুলো প্রশস্ত এবং লেগস্পেস পর্যাপ্ত পরিমানে আছে, যা দীর্ঘ ভ্রমণে আরাম নিশ্চিত করে।
  • বিনামূল্যে খাবার ও পানীয়:
    যাত্রীদের জন্য যাত্রার সময় হালকা খাবার এবং পানীয় গ্রীনলাইন পরিবহন বিনামুল্যে সরবরাহ করা হয়।
  • মোবাইল চার্জিং সুবিধা:
    প্রতিটি আসনে মোবাইল চার্জিং পোর্ট রয়েছে, যা যাত্রার সময় যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।
  • পেশাদার চালক ও স্টাফ:
    প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ চালক এবং ফ্রেন্ডলি স্টাফ যাত্রার মান ও অভিজ্ঞতা আরামদায়ক করে তুলে।

টিকিট মূল্য:

গ্রীন লাইন পরিবহন বাসের টিকিট মূল্য সাধারণত বাস ও আসনভেদে ১৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকার মধ্যে থাকে, যা বাসের প্রকার এবং আসনের উপর নির্ভর করে।

যাত্রার সময়:

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে গ্রীন লাইন পরিবহনের সময় লাগে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি:

  • অনলাইন বুকিং:
    গ্রীন লাইন পরিবহনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট greenlinebd.com এবং Shohoz, BdTickets এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট বুক করা যায়।
  • ফোনে বুকিং:
    গ্রীন লাইনের হেল্পলাইন নম্বরে কল দিয়ে টিকিট বুকিং করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট সংগ্রহ করা যায়।

কেন গ্রীন লাইন পরিবহন বেছে নিবেন?

গ্রীন লাইন পরিবহন তাদের যাত্রী সেবার মান, সময়ানুবর্তিতা এবং নিরাপত্তার জন্য বিখ্যাত। যারা আরামপ্রিয় এবং বিলাসবহুল ভ্রমণ পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ বাস সার্ভিস।

২। ইউনিক পরিবহন

ইউনিক পরিবহন ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য বাস সার্ভিস হিসেবে খ্যাত। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের সেবা প্রদান করে আসা এই পরিবহন সংস্থা মানসম্মত সেবা এবং সময়ানুবর্তিতার জন্য জনপ্রিয়।

ইউনিক পরিবহনের বৈশিষ্ট্য

  • নির্ভরযোগ্য এসি ও নন-এসি বাস:
    ইউনিক পরিবহন তাদের এসি এবং নন-এসি বাস সার্ভিসের মাধ্যমে যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
  • বিনোদনের ব্যবস্থা:
    বাসে এলইডি স্ক্রিন এবং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীরা ভ্রমণের সময় বিনোদনের সুযোগ আছে।
  • প্রশস্ত আসন:
    ইউনিক পরিবহনের বাসে লেগস্পেস বেশি, যা দীর্ঘ সময় ভ্রমণ আরামদায়ক করে তুলে।
  • নিরাপত্তা:
    দক্ষ চালক এবং পেশাদার স্টাফদের কারণে ইউনিক পরিবহন যাত্রার সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  • স্টপেজ সুবিধা:
    যাত্রার পথে নির্ধারিত স্টপেজে যাত্রীরা খাবার এর বিরতি নিতে পারেন।

টিকিট মূল্য

ইউনিক পরিবহনের টিকিট মূল্য নন-এসি বাসের জন্য ৮০০-১,০০০ টাকা এবং এসি বাসের জন্য ১,৫০০-২,০০০ টাকার মধ্যে থাকে।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে ইউনিক পরিবহনের সময় লাগে প্রায় ৯ -১১ ঘণ্টা।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    Shohoz, Busbd এর মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে ইউনিক পরিবহনের টিকিট সহজেই বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, এবং সায়েদাবাদ কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।

কেন ইউনিক পরিবহন বেছে নিবেন?

  • সাশ্রয়ী ভাড়ায় মানসম্মত সেবা।
  • সময়মতো যাত্রা এবং নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো।
  • আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণের নিশ্চয়তা।

৩। হানিফ পরিবহন

হানিফ পরিবহন বাংলাদেশের অন্যতম পুরাতন এবং জনপ্রিয় বাস সার্ভিস। দেশের বিভিন্ন রুটে যাত্রী সেবার পাশাপাশি ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য নাম। যাত্রী সেবায় তাদের সময়ানুবর্তিতা, আরামদায়ক যাত্রা, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তারা বিশেষভাবে পরিচিত।

হানিফ পরিবহনের বৈশিষ্ট্য

  • নানান ধরণের বাস সার্ভিস:
    হানিফ পরিবহন এসি, নন-এসি, স্লিপার কোচ এবং লং কোচ সেবা প্রদান করে, যা যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী বেছে নেওয়া যায়।
  • আরামদায়ক সিট:
    প্রশস্ত এবং আরামদায়ক আসন, যেগুলো দীর্ঘ ভ্রমণকেও সহজ এবং উপভোগ্য করে তোলে।
  • নিরাপত্তা:
    দক্ষ এবং অভিজ্ঞ চালক এবং স্টাফের মাধ্যমে যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত করা হয়।
  • স্টপেজ সুবিধা:
    যাত্রাপথে খাবার ও বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত স্টপেজ সুবিধা পাওয়া যায়।
  • পণ্য পরিবহন সেবা:
    যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি হানিফ পরিবহন পণ্য পরিবহন সেবা প্রদান করে, যা তাদেরকে আরও বহুমুখী করে তুলেছে।

টিকিট মূল্য

হানিফ পরিবহনের টিকিট মূল্য সাধারণত নন-এসি বাসের জন্য ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা এবং এসি বাসের জন্য ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে হানিফ পরিবহনের প্রায় ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা সময় লাগে।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    Shohoz, Busbd, এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজেই হানিফ পরিবহনের টিকিট বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, আরামবাগ, এবং সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।

কেন হানিফ পরিবহন বেছে নিবেন?

  • দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ এবং পুরাতন পরিবহন সংস্থা।
  • আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রার নিশ্চয়তা।
  • সময়ানুবর্তিতা এবং মানসম্মত সেবা।
  • সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্রমণের সুযোগ।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাত্রার জন্য হানিফ পরিবহন একটি নির্ভরযোগ্য পছন্দ হতে পারে। তাদের আরামদায়ক সেবা এবং সময়ানুবর্তিতার কারণে এটি ভ্রমণকারীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়।

৪। মার্সা পরিবহন

মার্সা পরিবহন ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে আরামদায়ক এবং বিলাসবহুল ভ্রমণের জন্য একটি জনপ্রিয় বাস সার্ভিস। সেবার মান এবং যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মার্সা পরিবহন দিন দিন আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

মার্সা পরিবহনের বৈশিষ্ট্য

  • উন্নতমানের এসি বাস:
    মার্সা পরিবহনের প্রতিটি বাসে উন্নতমানের এসি ব্যবস্থা রয়েছে, যা দীর্ঘ ভ্রমণেও যাত্রীদের আরামদায়ক রাখতে সহায়তা করে।
  • বিলাসবহুল আসন:
    বাসগুলোর আসন প্রশস্ত এবং লেগস্পেস বেশি, যা যাত্রীদের আরাম নিশ্চিত করে।
  • নিরাপদ ভ্রমণ:
    দক্ষ এবং অভিজ্ঞ চালক এবং স্টাফের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
  • বিনামূল্যে খাবার ও পানীয়:
    যাত্রার সময় যাত্রীদের বিনামূল্যে হালকা খাবার এবং পানীয় সরবরাহ করা হয়।
  • বিনোদনের সুবিধা:
    বাসে এলইডি স্ক্রিন এবং সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে, যা যাত্রাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।

টিকিট মূল্য

মার্সা পরিবহনের টিকিট মূল্য সাধারণত ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকার মধ্যে হয়, যা বাসের ধরণ এবং আসনের উপর নির্ভর করে।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে মার্সা পরিবহনের প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা সময় লাগে।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    মার্সা পরিবহনের টিকিট বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন Shohoz, BdTickets থেকে বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, এবং কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট সংগ্রহ করা যায়।

কেন মার্সা পরিবহন বেছে নিবেন?

  • উন্নতমানের বাস এবং আরামদায়ক সেবা।
  • যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দক্ষ চালক এবং স্টাফ।
  • সময়ানুবর্তিতা এবং নির্ভরযোগ্য যাত্রা।
  • বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা সাশ্রয়ী মূল্যে।

মার্সা পরিবহন আরামপ্রিয় যাত্রীদের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ। আপনার পরবর্তী কক্সবাজার যাত্রার জন্য মার্সা পরিবহনকে বেছে নিতে পারেন এবং উপভোগ করুন একটি সেরা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।

৫। এনা পরিবহন

এনা পরিবহন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বাস সার্ভিস, যা যাত্রী সেবা, সময়ানুবর্তিতা, এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য সুপরিচিত। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে এনা পরিবহন একটি নির্ভরযোগ্য নাম হিসেবে পরিচিত। যাত্রীদের সুবিধার জন্য তারা আধুনিক এবং উন্নতমানের বাস সেবা প্রদান করে থাকে।

এনা পরিবহনের বৈশিষ্ট্য

  • নানান ধরণের বাস সার্ভিস:
    এনা পরিবহন এসি, নন-এসি, এবং স্লিপার কোচ সেবা প্রদান করে, যা যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী ভ্রমণ সহজ করে।
  • আরামদায়ক আসন:
    বাসের আসন প্রশস্ত এবং আরামদায়ক, যা যাত্রীদের দীর্ঘ যাত্রাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে।
  • নিরাপত্তা:
    এনা পরিবহন দক্ষ চালক এবং পেশাদার স্টাফের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  • স্টপেজ সুবিধা:
    নির্ধারিত স্টপেজে যাত্রীরা খাবার এবং বিশ্রামের সুযোগ পান।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাস:
    বাসগুলো সবসময় পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখে।

টিকিট মূল্য

এনা পরিবহনের টিকিট মূল্য নন-এসি বাসের জন্য ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা এবং এসি বাসের জন্য ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে থাকে।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে এনা পরিবহনের প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    Shohoz, BdTickets, এবং Busbd এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজেই এনা পরিবহনের টিকিট বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।

কেন এনা পরিবহন বেছে নিবেন?

  • সময়মতো যাত্রা এবং নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো।
  • আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণের নিশ্চয়তা।
  • পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ।
  • সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত সেবা।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে এনা পরিবহন একটি চমৎকার পছন্দ। যাত্রার সময় আরাম এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এনা পরিবহনকে সঙ্গী করতে পারেন।

৬। দেশ ট্রাভেলস

দেশ ট্রাভেলস বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বাস সার্ভিস, যা তার নির্ভরযোগ্যতা, সময়ানুবর্তিতা এবং আরামদায়ক সেবা জন্য যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে দেশ ট্রাভেলস দীর্ঘ সময় ধরে সেবা প্রদান করছে এবং যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক বাস সুবিধা সরবরাহ করে।

দেশ ট্রাভেলসের বৈশিষ্ট্য

  • উন্নতমানের বাস সেবা:
    দেশ ট্রাভেলস তাদের বাসগুলোর মধ্যে আধুনিক এসি এবং নন-এসি বাস সুবিধা প্রদান করে, যা যাত্রীদের যাত্রাকে আরো আরামদায়ক করে তোলে।
  • আরামদায়ক আসন:
    দেশ ট্রাভেলসের বাসে প্রশস্ত এবং আরামদায়ক আসন রয়েছে, যেগুলো দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।
  • নিরাপত্তা:
    দক্ষ এবং অভিজ্ঞ চালক এবং স্টাফের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, যার ফলে যাত্রীরা নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারেন।
  • প্রতিটি বাসে বিনোদন:
    বাসে এলইডি স্ক্রিন এবং সাউন্ড সিস্টেম সুবিধা থাকায় যাত্রীরা নিজের পছন্দমতো বিনোদন উপভোগ করতে পারেন।
  • বিনামূল্যে খাবার:
    দীর্ঘ ভ্রমণের সময় যাত্রীদের জন্য দেশ ট্রাভেলস বিনামূল্যে হালকা খাবার এবং পানীয় প্রদান করে।

টিকিট মূল্য

দেশ ট্রাভেলসের টিকিট মূল্য সাধারণত ৮০০ থেকে ১,৫০০ টাকার মধ্যে থাকে, যা বাসের ধরন এবং আসনের সুবিধা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে দেশ ট্রাভেলসের প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    Shohoz, Busbd এবং BdTickets এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে দেশ ট্রাভেলসের টিকিট বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ এবং কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।

কেন দেশ ট্রাভেলস বেছে নিবেন?

  • উন্নতমানের বাস এবং সুবিধা।
  • সাশ্রয়ী মূল্যে আরামদায়ক সেবা।
  • সময়ানুবর্তিতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
  • যাত্রার সময় বিনোদন এবং খাবার সুবিধা।

আপনার পরবর্তী কক্সবাজার যাত্রার জন্য দেশ ট্রাভেলস একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে। তাদের বিশ্বস্ত সেবা এবং আরামদায়ক পরিবেশ আপনার ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে।

৭। সৌদিয়া কোচ সার্ভিস

সৌদিয়া কোচ সার্ভিস বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় বাস সার্ভিস, যা ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে উচ্চমানের সেবা প্রদান করে। দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া সৌদিয়া কোচ সার্ভিস তাদের আস্থাভাজন সেবার জন্য পরিচিত।

সৌদিয়া কোচ সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য

  • বিশাল এবং আরামদায়ক বাস:
    সৌদিয়া কোচ সার্ভিসে বড় এবং আরামদায়ক বাস রয়েছে, যা যাত্রীদের দীর্ঘ সময়ের ভ্রমণে সেরা আরাম এবং সুবিধা প্রদান করে।
  • নিরাপত্তা:
    সৌদিয়া কোচ সার্ভিস তাদের দক্ষ চালক এবং প্রশিক্ষিত স্টাফের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, যাতে যাত্রীরা নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারেন।
  • নির্দিষ্ট স্টপেজে বিরতি:
    দীর্ঘ ভ্রমণে যাত্রীদের বিশ্রাম এবং খাবারের জন্য নির্দিষ্ট স্টপেজে বিরতি দেওয়া হয়।
  • সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা:
    সৌদিয়া কোচ সার্ভিস তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদান করে।
  • এসি এবং নন-এসি বাসের সুবিধা:
    সৌদিয়া কোচ সার্ভিসে এসি এবং নন-এসি বাসের সুবিধা রয়েছে, যা যাত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচন করা যায়।

টিকিট মূল্য

সৌদিয়া কোচ সার্ভিসের টিকিট মূল্য সাধারণত ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকার মধ্যে থাকে, যা বাসের ধরন এবং আসনের উপর নির্ভর করে।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে সৌদিয়া কোচ সার্ভিসের প্রায় ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা সময় লাগে।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    সৌদিয়া কোচ সার্ভিসের টিকিট অনলাইনে Shohoz, BdTickets, এবং Busbd প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজেই বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।

কেন সৌদিয়া কোচ সার্ভিস বেছে নিবেন?

  • সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের সেবা।
  • নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণ।
  • যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট বিরতি এবং খাবারের সুবিধা।
  • যাত্রা সময় বিনোদন এবং সুবিধাজনক আসন ব্যবস্থা।

সৌদিয়া কোচ সার্ভিস আপনার পরবর্তী কক্সবাজার যাত্রার জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে, বিশেষত যারা সাশ্রয়ী মূল্যে আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণ চান।

৮। লন্ডন এক্সপ্রেস

লন্ডন এক্সপ্রেস বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য বাস সার্ভিস, যা ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে আরামদায়ক এবং দ্রুত ভ্রমণের সুযোগ প্রদান করে। তাদের আধুনিক বাস, সাশ্রয়ী ভাড়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা লন্ডন এক্সপ্রেসকে যাত্রীদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় পছন্দ করে তুলেছে।

লন্ডন এক্সপ্রেসের বৈশিষ্ট্য

  • উন্নতমানের বাস সেবা:
    লন্ডন এক্সপ্রেস শুধুমাত্র এসি বাস সেবা প্রদান করে, যা যাত্রীদের আরামদায়ক এবং বিলাসবহুল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেয়।
  • বিশাল এবং আরামদায়ক আসন:
    তাদের বাসগুলোর আসন খুবই প্রশস্ত এবং আরামদায়ক, যা দীর্ঘ যাত্রাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
  • নিরাপত্তা:
    লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসে নিরাপত্তার জন্য অভিজ্ঞ চালক এবং প্রশিক্ষিত স্টাফ থাকেন। বাসের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
  • বিনোদনের ব্যবস্থা:
    বাসে এলইডি স্ক্রিন এবং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো বিনোদন উপভোগ করতে পারেন।
  • ভ্রমণ শেষে খাবার এবং বিশ্রাম:
    যাত্রাপথে নির্দিষ্ট স্টপেজে খাবার এবং বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া হয়, যা দীর্ঘ যাত্রায় যাত্রীদের সুস্থ রাখে।

টিকিট মূল্য

লন্ডন এক্সপ্রেসের টিকিট মূল্য সাধারণত ২,০০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে থাকে, যা বাসের ধরন এসি এবং আসনের সুবিধার উপর নির্ভর করে।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে লন্ডন এক্সপ্রেসের প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    লন্ডন এক্সপ্রেসের টিকিট সহজেই Shohoz, Busbd, এবং BdTickets প্ল্যাটফর্ম থেকে অনলাইনে বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী এবং কল্যাণপুর কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।

কেন লন্ডন এক্সপ্রেস বেছে নিবেন?

  • আধুনিক এসি বাস এবং বিলাসবহুল ভ্রমণ।
  • যাত্রীদের জন্য নিরাপদ এবং আরামদায়ক পরিবেশ।
  • সময়ানুবর্তিতা এবং নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো।
  • সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের সেবা।

লন্ডন এক্সপ্রেস একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে যদি আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চান, যেখানে আপনি নিরাপত্তা, আরাম এবং লাক্সারি বাস সার্ভিস এর সেরা সেবা পাবেন।

৯। রয়্যাল কোচ

রয়্যাল কোচ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় বাস সার্ভিস, যা বিশেষ করে তার বিলাসবহুল সেবা, আরামদায়ক যাত্রা এবং নিরাপত্তার জন্য খ্যাত। ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে রয়্যাল কোচ একটি নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী পছন্দ হিসেবে পরিচিত। তাদের আধুনিক বাস এবং উৎকৃষ্ট সেবা যাত্রীদের মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

রয়্যাল কোচের বৈশিষ্ট্য

  • বিলাসবহুল বাস সেবা:
    রয়্যাল কোচ তাদের বাসগুলোর মধ্যে এসি সুবিধা প্রদান করে, যা যাত্রীদের জন্য একটি বিলাসবহুল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। বাসের আসন খুবই আরামদায়ক এবং প্রশস্ত, যা দীর্ঘ ভ্রমণকে সহজ করে তোলে।
  • নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা:
    বাসে সিসিটিভি ক্যামেরা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, যা যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ এবং নিশ্চিন্ত করে।
  • বিশ্রাম এবং খাবারের সুবিধা:
    দীর্ঘ ভ্রমণে যাত্রীদের জন্য বিশ্রামের সুবিধা ও হালকা খাবার সরবরাহ করা হয়। নির্ধারিত স্টপেজে যাত্রীরা বিশ্রাম নিতে পারেন এবং খাবার গ্রহণ করতে পারেন।
  • যাত্রীদের জন্য বিনোদন:
    বাসে এলইডি স্ক্রিন এবং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীরা বিনোদন উপভোগ করতে পারেন, যা যাত্রাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
  • বিশ্বস্ত স্টাফ এবং পরিষেবা:
    রয়্যাল কোচে অভিজ্ঞ চালক এবং পেশাদার স্টাফ কর্মরত থাকেন, যারা যাত্রীদের সেবা প্রদান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত মনোযোগী।

টিকিট মূল্য

রয়্যাল কোচের টিকিট মূল্য সাধারণত ১,২০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে থাকে, যা বাসের ধরন এবং আসনের উপর নির্ভর করে।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে রয়্যাল কোচের প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    রয়্যাল কোচের টিকিট অনলাইনে Shohoz, Busbd এবং BdTickets প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজেই বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।

কেন রয়্যাল কোচ বেছে নিবেন?

  • বিলাসবহুল এসি বাস এবং আরামদায়ক সেবা।
  • নিরাপদ এবং সুস্থ পরিবেশে ভ্রমণ।
  • সময়ানুবর্তিতা এবং নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো।
  • যাত্রীদের জন্য বিনোদন এবং খাবারের সুবিধা।

রয়্যাল কোচ আপনার পরবর্তী কক্সবাজার যাত্রার জন্য একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে। তাদের বিলাসবহুল বাস এবং নিরাপত্তার কারণে এটি একটি আদর্শ পরিবহন সার্ভিস।

১০। সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস

সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় বাস সার্ভিস, যা ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে নির্ভরযোগ্য এবং আরামদায়ক ভ্রমণের সুযোগ প্রদান করে। সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস তাদের আধুনিক বাস সেবা, নিরাপত্তা এবং যাত্রী সেবা নিয়ে বিশেষভাবে পরিচিত। দীর্ঘ সময় ধরে তারা কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য এক ভালো পছন্দ হয়ে উঠেছে।

সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসের বৈশিষ্ট্য

  • আধুনিক এসি বাস সেবা:
    সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস শুধুমাত্র এসি বাস সেবা প্রদান করে, যা যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক এবং বিলাসবহুল ভ্রমণ নিশ্চিত করে। বাসের আসন প্রশস্ত এবং যথেষ্ট আরামদায়ক, যাতে দীর্ঘ যাত্রায় কোনো অসুবিধা না হয়।
  • নিরাপত্তা:
    সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস তাদের বাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে। দক্ষ এবং অভিজ্ঞ চালকরা যাত্রীদের নিরাপদভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কাজ করে।
  • বিশ্রাম এবং খাবারের সুবিধা:
    যাত্রাপথে নির্দিষ্ট স্টপেজে যাত্রীদের বিশ্রামের সুযোগ এবং হালকা খাবার প্রদান করা হয়, যা দীর্ঘ ভ্রমণকে আরও সহজ করে তোলে।
  • বিনোদন ব্যবস্থা:
    বাসে এলইডি স্ক্রিন এবং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীরা বিনোদন উপভোগ করতে পারেন।
  • বিশ্বস্ত স্টাফ:
    সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসের স্টাফ সদস্যরা অত্যন্ত পেশাদার এবং বন্ধুত্বপূর্ণ, যারা যাত্রীদের যাত্রা আরও আরামদায়ক এবং নিরাপদ করতে সর্বদা প্রস্তুত।

টিকিট মূল্য

সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসের টিকিট মূল্য সাধারণত ২,০০০ থেকে ২,৮০০ টাকার মধ্যে থাকে, যা বাসের ধরন এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে।

যাত্রার সময়

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসের প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে।

টিকিট বুকিং পদ্ধতি

  • অনলাইন বুকিং:
    সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসের টিকিট অনলাইনে Shohoz, Busbd এবং BdTickets প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজেই বুক করা যায়।
  • বাস কাউন্টার:
    ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী এবং কল্যাণপুর কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনা যায়।

কেন সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস বেছে নিবেন?

  • আধুনিক এসি বাস এবং আরামদায়ক সেবা।
  • নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।
  • সময়ানুবর্তিতা এবং নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো।
  • সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের সেবা।

আপনার পরবর্তী কক্সবাজার যাত্রায় সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস হতে পারে একটি আদর্শ পছন্দ, কারণ তারা আপনাকে নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা সেবা প্রদান করবে।

বাসের সময়সূচী (ঢাকা-কক্সবাজার)

বাসের সময়সূচী পরিবহন কোম্পানির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত বাসগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ছাড়ে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন বাস সার্ভিসের সময়সূচী সাধারণত বিভিন্ন সার্ভিসের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

নির্দিষ্ট সময়সূচী ও টিকিটের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবহন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা উত্তম।

বাস টিকিট বুকিং পদ্ধতি

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাসের টিকিট বুকিং করা এখন অনেক সহজ হয়েছে। আপনি চাইলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা সরাসরি বাস কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে কয়েকটি জনপ্রিয় টিকিট বুকিং পদ্ধতির উল্লেখ করা হলো:

  • অনলাইন প্ল্যাটফর্ম:
    যেমন: Shohoz, Busbd, এবং BdTickets এর মাধ্যমে বাস টিকিট সহজেই বুক করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন বাসের সময়সূচী, ভাড়া, এবং আসন খালি থাকলে তা দেখানো হয়।
  • মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন:
    এসব প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। আপনি অ্যাপ ডাউনলোড করে, একটি অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই টিকিট বুক করতে পারবেন।
  • বাস কাউন্টার:
    যদি আপনি সরাসরি কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে চান, তবে সংশ্লিষ্ট বাস সার্ভিসের ঢাকার কোনো কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে পারবেন। কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করলে সময়সূচী এবং আসনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে সরাসরি নিশ্চিত হওয়া যায়।

ভ্রমণের সময় নিরাপত্তা

ভ্রমণকে নিরাপদ এবং আরামদায়ক করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন:

  • বাসের সময়মতো উপস্থিতি:
    নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে বাস কাউন্টারে পৌঁছান।
  • মূল্যবান সামগ্রীর যত্ন:
    আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র নিজে সংরক্ষণ করুন এবং লকার ব্যবহার করার সুযোগ থাকলে তা ব্যবহার করুন।
  • খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখুন:
    লম্বা ভ্রমণে মাঝে মাঝে খাবার ও পানীয় সংগ্রহে অসুবিধা হতে পারে। তাই সাথে কিছু শুকনো খাবার এবং পানির বোতল রাখুন।
  • বাসের চালক ও স্টাফের সাথে যোগাযোগ:
    যেকোনো সমস্যায় বাসের চালক বা স্টাফের সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।

যাত্রা বিরতি

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বেশ কিছু জনপ্রিয় স্থানে বাস থামে, যেখানে যাত্রীরা খাবার সংগ্রহ করতে পারেন। এই স্টপেজগুলো সাধারণত খাবারের দাম একটু বেশি তাকে অবশ্যই দাম যাচাই করে অর্ডার করবেন।

ব্রি দ্রঃ উপরের আর্টিকেলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সময়, ভাড়া এবং অন্যান্য অনেক বিষয় পরিবর্তন হতে পারে। যাত্রার আগে আপনারা অবশ্যই নির্দিষ্ট বাস কাউন্টারের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক ভাড়া ও সময় যেনে নিবেন।

উপসংহার

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাত্রা একটি জনপ্রিয় এবং জনপ্রিয় গন্তব্য, এবং বিভিন্ন বাস সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণের সুবিধা পেতে পারেন। গ্রীন লাইন, হানিফ, এনা পরিবহন, সৌদিয়া কোচ সার্ভিস, লন্ডন এক্সপ্রেস, রয়্যাল কোচ এবং সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসসহ প্রতিটি বাস সার্ভিসই তাদের নিজস্ব সুবিধা, সাশ্রয়ী মূল্যে আরামদায়ক সেবা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিচিত।

এই বাস সার্ভিসগুলোতে এসি এবং নন-এসি বাসের সুবিধা, নির্ধারিত স্টপেজে বিশ্রাম ও খাবারের সুযোগ, এবং আধুনিক বিনোদন ব্যবস্থাও রয়েছে। একই সাথে, তাদের নির্ধারিত সময়সূচী অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার কক্সবাজার ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারেন।

আপনার ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক এবং স্মরণীয় করে তুলতে, সঠিক বাস সার্ভিস নির্বাচন এবং টিকিট বুকিং নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য যাত্রীদের জন্য সময়সূচী এবং টিকিট বুকিং পদ্ধতির বিস্তারিত জানাটা জরুরি। পরবর্তী ভ্রমণে, আপনি যে বাস সার্ভিসটি নির্বাচন করবেন, তা অবশ্যই আপনার আরাম, সাশ্রয়ী মূল্য এবং নিরাপত্তার জন্য সেরা পছন্দ হবে।

ঢাকা কক্সবাজার বাস সার্ভিস নিয়ে প্রায়ই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন FAQs:

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বাস যেতে কত সময় লাগে?

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বাসে যেতে সাধারণত ৮-১২ ঘণ্টা সময় লাগে, তবে বাসের ধরন, রাস্তার পরিস্থিতি ও আবহাওয়ার কারণে সময় কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।

বাস টিকিটের দাম কত?

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বাসের টিকিটের দাম বাসের ধরণ ও সার্ভিসের উপর নির্ভর করে।
নন-এসি বাস: ৭০০-১২০০ টাকা
এসি বাস: ১৫০০-৩০০০ টাকা

কোন সময়ে বাস ছাড়ে?

ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাস সার্ভিসগুলো সাধারণত সকাল, বিকেল এবং রাতে ছাড়ে। সঠিক সময় জানতে নির্দিষ্ট বাস সার্ভিসের সময়সূচি দেখে নিন।

বাসে খাবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা আছে কি?

বেশিরভাগ দূরপাল্লার বাসে যাত্রাপথে একটি বা দুটি বিরতি দেয়া হয় যেখানে খাবার ও বিশ্রামের সুযোগ থাকে। কিছু প্রিমিয়াম সার্ভিস বাসে হালকা খাবার সরবরাহ করা হয়।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে কোন বাস সবচেয়ে দ্রুত পৌঁছায়?

সাধারণত গ্রীন লাইন, ইউনিক ও হানিফ, শ্যামলী এসি বাসগুলো তুলনামূলক দ্রুত ও আরামদায়ক সেবা দিয়ে থাকে।

কি করলে রিজার্ভ বাস নিতে পারব?

যদি আপনি একটি রিজার্ভ বাস নিতে চান, তাহলে নির্দিষ্ট বাস সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করুন। গ্রুপ ভ্রমণের জন্য এটি উপযুক্ত হতে পারে।

কক্সবাজার থেকে ঢাকা ফেরার জন্য কি একই বাসে টিকিট পাওয়া যায়?

হ্যাঁ, কক্সবাজার থেকে ঢাকার জন্য আগাম টিকিট বুক করা যায়। যাত্রার সময়সূচি অনুযায়ী এটি আগেভাগে নিশ্চিত করা ভালো।

About the author
Eliyas Ahmed

Leave a Comment